মাধ্যমিক ভূগোল নোটস্ 2022
অধ্যায় -১ : বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ
১. অবরোহণ প্রক্রিয়ার অপর নাম – নগ্নীভবন প্রক্রিয়া ।
২. আরোহণ প্রক্রিয়ার অপর নাম – সঞ্চয় প্রক্রিয়া ।
৩. পৃথিবীর বৃহত্তম অববাহিকা হল – আমাজন অববাহিকা ।
৪. ভারতের বৃহত্তম অববাহিকা হল – গঙ্গা অববাহিকা ।
৫. দুটি নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চল হল – দোয়াব ।
৬. দুটি নদীর মিলিত স্থান হল – নদী সংগম ।
৭. উচ্চ বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ হল – ক্ষয়কাজ ।
৮. মধ্যগতিতে নদীর প্রধান কাজ হল – বহন ।
৯.নিন্মগতিতে নদীর প্রধান কাজ হল – সঞ্চয় কাজ ।
১০. ইংরেজি ‘I’ আকৃতির নদী উপত্যকাকে বলে – ক্যানিয়ন ।
১১. অতিগভীর V আকৃতির উপত্যকাকে বলে - গিরিখাত ।
১২. শুষ্ক অঞ্চলে কোমল শিলার ওপর গঠিত নদী উপত্যকা হল - ক্যানিয়ন ।
১৩. পৃথিবীর বৃহত্তম ক্যানিয়ন হল – সাংপো ক্যানিয়ন (গভীরতা ৫৫০০মি.) ।
১৪. পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাত হল – ভেনেজুয়েলার গৌজা নদীর উপর সাল্টো আ্যাঞ্জেল (৯৭৯মি.) জলপ্রপাত ।
১৫. পলল শঙ্কু দেখা যায় - পর্বতের পাদদেশে ।
১৬. ধনুকাকৃতি ব-দ্বীপের উদাহরণ হল – নীল নদের ব-দ্বীপ , গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র ব-দ্বীপ ।
১৭. পাখির পা ব-দ্বীপের উদাহরণ হল – মিসিসিপি নদীর ব-দ্বীপ ।
১৮. পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য হল – সুন্দরবন ।
১৯. পৃথিবীর বৃহত্তম মহাদেশীয় হিমবাহ হল – অ্যান্টার্কটিকার ল্যাম্বার্ট ।
২০. পৃথিবীর দীর্ঘতম উপত্যকা হিমবাহ হল – আলাস্কার হাবার্ড বা হুবার্ড (২ কিমি চওড়া , ১০০মি. পুরু) ।
২১. ভারতের দীর্ঘতম উপত্যকা হিমবাহ হল – কারাকোরাম পর্বতের সিয়াচেন হিমবাহ ।
২২. পৃথিবীর বৃহত্তম পাদদেশীয় হিমবাহ হল – আলাস্কার ম্যালাসপিনা (৬ কিমি চওড়া , ৪৫ কিমি লম্বা ) ।
২৩. ‘the land of fjords’ বা ফিয়র্ড-এর দেশ বলা হয় – নরওয়েকে ।
২৪. ‘Basket of egg topography’ -এর সাথে কোন ভূমিরূপটি সম্পর্কিত – ড্রামলিন ।
২৫. হিমবাহের সঞ্চয়কার্যে উল্টানো নৌকার ন্যায় ভূমিরূপটির নাম - ড্রামলিন ।
২৬. পৃথিবীর বৃহত্তম অপবাহন সৃষ্ট হ্রদের উদাহরণ হল – মিশরের কাতারা ।
২৭. বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপের উদাহরণ হল – গৌর বা গারা , জিউগেন বা জুইগেন ও ইয়ার্দাং ।
২৮. বায়ুর সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপের উদাহরণ হল – বালিয়ারি ও অনুরূপ সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ এবং লোয়েস ।
২৯. রাজস্থানে (থর মরুভূমি অঞ্চলে) চলমান বালিয়াড়ি কে - ধ্রিয়ান বলে ।
৩০. পৃথিবীর বৃহত্তম প্লায়া হল – লা প্লায়া ।
৩১. জলবিভাজিকা কাকে বলে ?
উঃ যে উচ্চভূমি পাশাপাশি অবস্থিত দুটি নদী অববাহিকাকে পৃথক করে তাকে জলবিভাজিকা বলে ।
৩২. ক্যানিয়ন কাকে বলে ?
উঃ নদীর গতিপথ জুড়ে বিস্তৃত দু-পাশের খাড়া দেয়ালযুক্ত I-আকৃতির গভীর উপত্যকাকে ক্যানিয়ন বলে ।
৩৩. অশ্বখুরাকৃতি হ্রদ নদীর কোন গতিতে সৃষ্টি হয় ?
উঃ অশ্বখুরাকৃতি হ্রদ নদীর নিন্মগতিতে সৃষ্টি হয় ।
৩৪. পেডিমেন্ট কাকে বলে ?
উঃ মরু অঞ্চলে উচ্চভূমির পাদদেশের চওড়া, বিস্তৃর্ণ, ঢালু ও শিলাময় এলাকাকে পেডিমেন্ট বলে ।
৩৫. বাজাদা কাকে বলে ?
উঃ পেডিমেন্টের সামনের সঞ্চয়জাত সমভূমিকে বাজাদা বলে ।
৩৬. ওয়াদি কাকে বলে ?
উঃ মরুভূমির শুষ্ক নদী খাতকে ওয়াদি বলে ।
৩৭. পলল শঙ্কু কাকে বলে ?
উঃ পর্বতের পাদদেশে নদী-বাহিত নুড়ি, পাথর, কাঁকর, বালি, পলিদানার সঞ্চয়ে সৃষ্ট তিনকোণাকৃতি ভূমিরূপকে পলল শঙ্কু বলে ।
৩৮. পলল ব্যজনী কাকে বলে ?
উঃ অনেক গুলি পলল শঙ্কু জুড়ে গেলে দেখতে হাত পাখার মতো হয়, একে পলল ব্যজনী বলে ।
৩৯. প্লাবনভূমি বা প্লাবন সমভূমি কাকে বলে ?
উঃ নদীর নিন্মপ্রভাবে নদীপাড় থেকে উপত্যকার শেষসীমা পর্যন্ত বন্যার পলি জমে যে সুবিস্তৃত সমভূমি গঠিত হয়, তাকে প্লাবনভূমি বা প্লাবন সমভূমি বলে ।
৪০. হিমবাহ কাকে বলে ?
উঃ ভূপৃষ্ঠের ঢাল ধরে মাধ্যাকর্ষণের টানে ধীরগতি সম্পন্ন বহমান পুরু বরফের স্তরকে হিমবাহ বলে ।
৪১. হিমরেখা কাকে বলে ?
উঃ পর্বতের উঁচু অংশে বা মেরু অঞ্চলে যে সীমারেখার ওপর সারাবছর তুষার জমে থাকে, কখনও গলে না কিংবা যে রেখার নীচে বরফ গলে জলে পরিণত হয় তাকে হিমরেখা বলে ।
৪২. সার্ক বা করি কী ?
উঃ হিমবাহ ক্ষেয়ের ফলে পর্বতগাত্রে হাতলযুক্ত চেয়ার বা চামচের গর্ত বা অ্যাম্ফিথিয়েটারের মতো ভূমিরূপ সৃষ্টি করে , একেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ডে করি , ফ্রান্সে সার্ক, জার্মানিতে কার , ওয়েলস-এ কাম বলে ।
৪৩. এরিটি কী ?
উঃ দুটি সার্ক পাশাপাশি থাকলে তাদের মধ্যবর্তী যে তীক্ষ্ণশীর্ষ বিশিষ্ট শৈলশৃঙ্গ সৃষ্টি হয় তাকে এরিটি বা অ্যারেট বলে ।
৪৪. ফিয়র্ড কী ?
উঃ সমুদ্র উপকূলে হিমবাহ-কর্তিত নিমজ্জিত উপত্যকা হল ফিয়র্ড বা ফিয়ার্ড ।
৪৫. অবরোহণ কী ?
উঃ যে প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্যের মাধ্যমে উঁচু ভূমির উচ্চতা হ্রাস পেয়ে নীচু ভূমিতে পরিণত হয় সেই প্রক্রিয়া হল অবরোহণ ।
৪৬. কেম কী ?
উঃ উপত্যকার নীচের অংশে হিমবাহ গলতে শুরু করলে হিমবাহের মাঝখানের ফাঁকা অংশে নুড়ি, বালি, কাঁকরের স্তরিত অবক্ষেপ দ্বারা সৃষ্ট উঁচুনিচু ঢিবির সারিকে কিংবা উপত্যকার গায়ে সঞ্চিত ত্রিকোণাকার ব-দ্বীপের মতো ভূমিরূপকে কেম বলে ।
৪৭. হিমদ্রোণি কাকে বলে ?
উঃ পার্বত্য অঞ্চলে পূর্বেকার V-আকৃতির নদী উপত্যকাগুলি প্রায় সমানভাবে হিমবাহের পার্শ্বক্ষয় ও নিন্মক্ষয়ের ফলে যখন U-আকৃতিবিশিষ্ট উপত্যকায় পরিণত হয় তাকে হিমদ্রোণি বলে ।